স্বদেশ ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থেকে এক নারী শ্রমিক সৌদি আরবে গিয়ে গত তিন বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিখোঁজ হওয়া ডলি বেগমের (৩৬) খোঁজ পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে আকুতি জানিয়েছেন তার বাবা-মা ও সন্তান। তিনি উপজেলার গণমানপুরুরা গ্রামের মো: দুলাল মিয়ার মেয়ে।
সরেজমিনে সোমবার তার বাড়িতে নিখোঁজের মা জোৎস্না আখতার জানায়, আজ থেকে ১৫ বছর আগে ডলিকে বরিশালের আনোয়ার হোসেন নামে এক যুবকের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের বছরখানেক যেতে না যেতেই ডলির স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়। তখন সে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। সেখান থেকে ডলির আশ্রয় মিলে বাবার বাড়ি হোসেনপুরে।
ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় এক আদম ব্যবসায়ীর মাধ্যমে আজ থেকে ১১ বছর আগে গৃহ পরিচারিকা ভিসায় সৌদি আরবে যায় ডলি। সেখানে যাওয়ার আট বছর যাবত প্রতিদিনই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাড়ির সাথে যোগাযোগ ছিল এবং প্রতি মাসেই মা-বাবা ও মেয়ের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাঠাতো।
কিন্তু গত তিন বছর ধরে পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে ডলির।
জন্মের আগেই বাবাকে হারানো ডলির রেখে যাওয়া মেয়ে শ্যামা আক্তার (১৪) মায়ের সাথে যোগাযোগ নেই। প্রতি নিয়তই নিরব কান্নায় তার চোখের জল শুকাচ্ছে। এখন সে স্থানীয় লুলিকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।
নিখোঁজ ডলির বাবা দুলাল মিয়া (৮০) ও মাতা জোৎস্না বেগম (৭০) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।